কুবি প্রতিনিধি, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)-কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রায় ২০০০ ছাত্রী নতুন হলের নির্মাণকাজের ধীর গতির কারণে তীব্র আবাসন সংকটে ভুগছেন। এতে করে একটি হলেই গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে অধ্যায়নরত ছাত্রীদের।
জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ৩টি আবাসিক হল থাকলেও ছাত্রীদের জন্য রয়েছে মাত্র একটি হল। ফলে ছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা সমাধানে ২০১৭ সালের মে মাসে শেখ হাসিনা হল নামে নতুন একটি ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় খুব ধীর গতিতে নির্মাণ কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আবু তাহের বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসন থেকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য চাপ দেয়া হলে তারা জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে আসছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে তাগাদা দিয়েও কাজে গতি আনতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এদিকে ছাত্রীদের জন্য বর্তমান নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলে আবাসন সুবিধা রয়েছে মাত্র ৩০০ জনের। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত প্রায় ২০০০ ছাত্রীর জন্য অপ্রতুল। ফলে হল প্রশাসনও সবাইকে আবাসিক সুবিধা দিতে পারছে না।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারজানা আফরোজ টুম্পা বলেন, ‘বাইরে বাসা ভাড়া বেশি ও নিরাপত্তা কম হওয়াতে প্রায় ২ মাস আগে হলে সিটের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু এখনও কিছু জানায়নি। কবে সিট পাবো তা বলতে পারছি না।’
হলে আসন সংকটের ব্যাপারে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমানে হলে সিট পেতে প্রায় ২৫০টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। কিন্তু এসব আবেদনের বিপরীতে মাত্র ২৭টি আসন ফাঁকা থাকায় সবাইকে হলে জায়গা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।