এই দুই উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজগুলোর স্থানে বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে সেগুলোও চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁশের সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে। মাঝে মাঝে রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটো এসব সেতুর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর একটির উপর থেকে পড়ে ইতিমধ্যে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে বন্যার পানির তোড়ে ৪টি ব্রিজ ধসে যায়। সেই থেকে চলাচলের কথা ভেবে উপজেলা পরিষদ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দেয়া হয়। এই সাঁকোগুলোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত এক লাখ লোক চলাচল করছে।
তিনি বলেন, পরিষদের সাধ্যমতো এসব সেতু মেরামত করে দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তিস্তা ,যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি উপচিয়ে দুই বছর আগে জুলাই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয় বন্যা। আর সেই ভয়াবহ বন্যায় পানির তোড়ে ক্ষতির মুখে পড়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।
পানির তোড়ে ধসে যায় বাঁধ, ৪৩ কিলোমিটার কাঁচাপাকা সড়কসহ ৪টি কালভাট ও একটি ব্রিজ।
বন্যায় ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাথে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানি নেমে যাওয়ার পর মাটি দিয়ে লোক দেখানো সড়ক মেরামত করে এলজিইডি। আর চারটি কালভার্ট ও ব্রিজের ওপর নির্মাণ করা হয় বাঁশের সেতু। নড়বড়ে সেই বাঁশের সেতুর উপর দিয়েই এখনো পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন।
তবে, ইতিমধ্যে একটি কালভার্টের ঝুলন্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও অন্য তিনটির কাহিল অবস্থা।
কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বলেন, বাঁশ দিয়ে লোক দেখানো চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সাঁকোর যে অবস্থা তাতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিশুদের স্কুলে আসা-যাওয়া দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে পড়েছে। অসুস্থ্ মানুষকে সাঁকোর ওপর দিয়ে নেয়া কষ্টকর বিষয়।
এলজিইডি, গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান শেখ বলেন, ইতিমধ্যে সাঁকোগুলো সরিয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করে কাজ শুরু হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুমে ব্রিজগুলো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।