বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক রবিবার ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার ঘনবসতির কারণে বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের আগের প্রস্তাবিত শরীয়তপুর এবং মাদারীপুরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে সরে এসেছে।
সচিব বলেন, ‘জাপানের পরামর্শক সংস্থা নিপ্পন কোয়েই কোম্পানি লিমিটেড সরকারকে প্রস্তাবিত স্থানে বিমানবন্দর না নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছে। কেননা ওই এলাকার আশপাশে ৮ হাজারেরও অধিক পরিবারের বসবাস।’
সরকারি উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা পূর্বের নির্বাচিত স্থান বাদ দিয়েছেন, কারণ সরকার এই বিশাল জনসংখ্যা স্থানান্তর করতে চায় না।
বিমানবন্দরের জন্য ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫ কিলোমিটার প্রশস্ত জমি প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের জাতির জনকের নামে প্রস্তাবিত নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নতুন স্থান সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হক বলেন, এই স্থান রাজধানীর ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যেই হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার আশপাশেই উপযুক্ত স্থান নির্বাচনে কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, সম্ভাব্য স্থান নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
পরামর্শদাতা সংস্থা জুলাই ২০১৫ থেকে জাজিরা ও শিবচর এলাকায় প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করে। যা এই বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এজন্য ১৩৬.৭৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।
তবে ১২০ কোটি টাকা ব্যয় করে জাপানের কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের আগেই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে নিপ্পন কোয়েইকে ঢাকার পাশেই প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দরের নতুন জায়গা খুঁজে বের করতে বলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।