সার্বিক এই প্রেক্ষাপটে কৃষির উৎপাদনশীলতা ধরে রাখতে এবং বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কৃষিকে যান্ত্রিক কৃষিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘অটো রাইস প্লান্ট প্রডাকশন লাইন মেশিন’ দিয়ে তৈরিকৃত চারা ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন’ দিয়ে রোপন করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নে সারাদেশে কম পানিতে অধিক ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে এবং খামার যান্ত্রিকীকরণের ফলে উৎপাদন খরচ কমিয়ে কৃষকেরা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হতে পারবেন।
এই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে এবং উৎপাদন ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
সম্প্রতি বিরল উপজেলার চকেরহাটে এগ্রিপ্লাস লিমিটেড ও বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী যান্ত্রিক চারা রোপণ মাঠ প্রদর্শনী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সহযোগীতা করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।
আয়োজকরা জানান, সরকারের অর্থায়নে বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর (আরডিএ) সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র ‘পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিস্তার এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রায়োগীক গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৪০টি জেলার ৬৩টি উপজেলার অন্তর্গত ২০০টি সাইটে (উপ-প্রকল্প এলাকা) এবং ৭টি মাদার ট্রায়েল এলাকায় এডব্লিউডি, রেইজড বেড, এসআরআই ও ট্রাইকো-কম্পোস্ট প্রযুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা আব্দুল করিম নামে বিরল উপজেলার এক কৃষক সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এটাকে উপযুক্ত প্রক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেন।
‘এই পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে শুধু উৎপাদনই বাড়েনি, খরচও তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে,’ বলেন তিনি।
অনেক বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে এবং এর বাণিজ্যিক ব্যবহার ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলের মধুপুর, কুড়িগ্রাম, বগুড়া, ধামরাই এবং সিলেটের অনেক জায়গায় এই পদ্ধতির বাণিজ্যিক ব্যবহারের সফল উদাহরণ রয়েছে।