গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমলেও, এখনও বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে জেলার সাত উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫০ কি. মি. পাকা সড়ক।
ফরিদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খ ম নকিবুর বারী জানান, এবারের বন্যায় গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তারাইল এবং হাটগজারিয়া চরভদ্রাস-সদরপুর রুটের চার কিলোমিটারের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে গেছে।
এছাড়া সড়ক দুটিতে রেইন কাট, বিভিন্ন অংশে ধস, অনেক জায়গা দেবে যওয়া এবং সড়কের মাটির সোল্ডার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান সড়ক বিভাগের এই প্রকৌশলী।
জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্ত সেজমিন সুলতানা জানান, এ উপজেলার ৭০ শতাংশই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এক মাসের মতো দীর্ঘ সময় পানি থাকায় উপজেলার এমপি ডাঙ্গি- জাকেরের সরু, খালাসি ডাঙ্গী, বিএসডাঙ্গীসড়কসহ বেশি কিছু সড়কের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি জানান, বন্যার পানি এখন ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ পানি নেমে গেলে উপজেলার সড়কগুলো ক্ষতি নিরুপণ করা যাবে। তবে যে সড়কগুলো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল তা অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পিন্টু সাহা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দেড়শ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায় এবং মাসব্যাপী পানি স্থায়ীত্ব হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। পানিতে নিমজ্জিত সড়কের ৮০ শতাংশই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতি নদীর ভাঙনে দুটি সড়কের প্রায় তিশ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলার গোপালপুর-চরডাঙ্গা পাকা সড়ক ও বাশতলা সড়কের ৫০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়েছে বলে জানান আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান।