কৃষকরা জানান, ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ধানক্ষেত শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। জমিতে রোপন করা ধানের চারাগুলো লালচে রং ধারণ করে মারা যাচ্ছে।
রংপুরের আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর বৃষ্টিপাত অনেক কম হয়েছে। এই বছরে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। অথচ গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৬০০ মিলিমিটার।
অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়।
রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষকদেরকে গভীর নলকূপ দিয়ে বা সম্পূরক সেচের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে পানি সরবরাহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই এলাকাগুলোর কৃষকরা গভীর ও স্যালো নলকূপ থেকে সেচের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত বীজ সংরক্ষণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে রংপুর শহরের খাশবাগের কৃষক আসাদুজ্জামান আফজাল বলেন, তার দেড় একর ধানক্ষেতে সেচের জন্য এক হাজার ৯৫০ টাকা খরচ হয়েছে।
সদর উপজেলার আরেক কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, দুই একর জমিতে সেচ দিতে তার প্রায় দুই হাজার টাকা লেগেছে।
তিনি আরো বলেন, সেচের খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেক কৃষক তাদের জমিতে সঠিকভাবে সেচ দিতে পারেনি। তারা এখন ভারি বৃষ্টিপাতের জন্য অপেক্ষা করছে।
কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, এরকম খরা অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তবে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে যাবে। তাদেরকে গভীর ও স্যালো নলকূপ দিয়ে আরো অনেক দিন পর্যন্ত সেচ দেয়া লাগবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় মোট ১০ লাখ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা।