মালিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলেন, ‘যখনই আকাশ মেঘলা হয়ে যায় তখনই শিক্ষকরা আমাদের বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যেতে বলেন।’
মালিগ্রামসহ উপজেলায় ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ঝুঁকিপূর্ণ অন্য বিদ্যালয়গুলো হলো-উপজেলার নেরাউদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খলাগাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঞ্জিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিছমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পল্লীশাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরেঙ্গাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মালিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাতন-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র দাস বলেন, সম্প্রতি মন্ত্রণালয় তাদের ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় শনাক্ত করার আদেশ দেয়ার পর তারা তালিকা প্রস্তুত করেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পাঠদান করানো সম্ভব। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় পাঠদান করতে শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করা হয়।
‘মন্ত্রণালয় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা চেয়েছে। ইতোমধ্যে তালিকা পাঠিয়েছি। এখন তালিকা অনুযায়ী তারা সংস্কার বা ভেঙে নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেবেন এটা তাদের ব্যাপার,’ বলেন তিনি।
ফারুক আহমদ নামে এক অভিভাবক বলেন, এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভবন টিনশেডের তৈরি। তাই আপাতদৃষ্টিতে এগুলো নিয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কা না থাকলেও বিপদ হতে পারে বলে জানান তিনি।
নেরাউদি গ্রামের অপর অভিভাবক শাহজাহান আহমদের অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে একাধিক ভবন থাকার পরও নতুন করে ভবন নির্মাণ হয়। অথচ আমাদের মতো অবহেলিত গ্রামের বিদ্যালয়গুলো বৃষ্টি হলে ছুটি দিতে হয়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আরিফুর রহমান জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।