জানা যায়, গত ১৪ জুন ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা শনাক্তের জন্য একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়। এক সপ্তাহ পর গত ২১ জুন ওই ল্যাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ল্যাব বুঝিয়ে দেয়া।
কিন্তু পরীক্ষা ল্যাবে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দুজন ডাক্তারের অভাবে ল্যাবটি চালু করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন।
এদিকে, ভোলায় পিসিআর ল্যাব চালু না হওয়ায় করোনা উপসর্গ সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও নমুনা পরীক্ষার জন্য জেলার বাইরে ঢাকা বা বরিশাল পাঠাতে হয়। এতে রির্পোট আসতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লাগে।
ভোলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের পজিটিভ রির্পোট এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৩৬ জনে। এর মধ্যে ৬৬৩ জনের নমুনা রির্পোট এখনও আসেনি।
রির্পোট আসতে বিলম্ব হওয়ায় নমুনা দেয়া ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত কিনা স্বল্প সময়ে জানতে পারছেনা। নমুনা দেয়া ব্যক্তিরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন যত্রতত্র। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংর্স্পশে আসা ব্যক্তি নিজে যেমন সংক্রমিত হচ্ছে তেমনি অন্যদেরও সংক্রমিত করছেন। এতে ভোলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা।
এছাড়া করোনা পরীক্ষায় জট লাগায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় অনেক রোগী তাদের নমুনা দিতে পারছে না। ভোলায় সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বেসরকারিভাবে কোন ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় এতে করে মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজ উদ্দিন জানান, ভোলায় পিসিআর ল্যাব চালু করে এক শিফটে দুজন ডাক্তার ও নয়জন টেকনোলজিস্ট দরকার। ল্যাব চালুর জন্য জনবল নিয়োগের কাজ চলমান। দুজন ডাক্তারের মধ্যে একজন হাসপাতালে যোগদান করেছেন। কিন্তু তিনি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নন। তাই প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞ দুজন ডাক্তার নিয়োগ হলে পিসিআর ল্যাব চালু হবে।
পিসিআর ল্যাব চালু হলে দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে মানুষ নমুনা পরীক্ষার রির্পোট পাবে বলে জানালেও কবে নাগাদ ল্যাবটি চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি হাসপাতালের এ মুখাপাত্র।