সম্প্রতি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এ বছর যেন কোনো গাফিলতি না থাকে সে জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
‘হজ শেষ হওয়ার পর কোনো হাজি অবৈধভাবে সৌদি আরবে থেকে যেতে পারবেন না,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার আগেই বাংলাদেশি মুসলিমরা এখন ঢাকার বিমানবন্দর থেকেই ইমিগ্রেশনের সব প্রক্রিয়া সারতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেসব হজ এজেন্সি প্রতারণা ও অনিয়ম করছে তাদের জরিমানা ও লাইসেন্স বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বাসা সংক্রান্ত জটিলতার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরব সরকারকে জানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি সরকার নিশ্চিত করেছে যে তারা বাংলাদেশকে উন্নত সুযোগ-সুবিধা দেবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজের একটিতে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ও অন্যটিতে ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা খরচ হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে কম খরচের প্যাকেজ হলো ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে যেতে পারবেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন যেতে পারবেন।
এবার বিমান ভাড়া কমানো হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান ভাড়া গত বছর ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা হলেও এ বছর ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।