বাগদাদ অনেক বছর ধরে জায়গাটিকে তালিকাভুক্ত করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
বাগদাদ থেকে ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত এ শহর ইরাকের গত চার দশক ধরে একের পর এক যুদ্ধে আক্রান্ত হওয়ার আগে এক সময় পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ ছিল।
চার হাজার ৩০০ বছরের পুরনো ব্যাবিলনে এখন মূলত আছে প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর। এ ব্যাবিলনেই মানব সভ্যতার শুরু থেকে বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান আর পতন হয়েছে।
রাজা হামুরাবি তার বিখ্যাত আইন ব্যাবিলনে লিপিবদ্ধ করেন। এ শহর থেকেই নেবুচাদনেজার ইহুদিদের বিদ্রোহ দমন ও দাস হিসেবে ফিরিয়ে আনতে তার বিশাল সেনাবাহিনী পাঠান জেরুজালেমে।
কেউ কেউ বলেন, চেনা পৃথিবীর বেশিরভাগ জয় করতে মেসিডোনিয়া থেকে সেনাবাহিনী নিয়ে বের হওয়া মহান আলেকজান্ডার খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩২ সালে ব্যাবিলনে মারা যান।
শহরটি নতুন আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়ায় অনেক ইরাকি জাতীয় পতাকা নিয়ে সেখানকার ইশতার গেটে জড়ো হন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল-মেহেদি এ ঘটনাকে সভ্যতার ভূমি ইরাকের জন্য আরেকটি বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতে, ইরাক বিশ্বের বাতিঘর ছিল এবং সব সময় থাকবে।
প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহ টুইটারে বলেন, ব্যাবিলনের পর অন্য প্রাচীন জায়গাগুলো তালিকায় যোগ করা হবে। যার মাধ্যমে ইরাক তার প্রাপ্য মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবে।
কয়েক বছর আগে ইরাকের উত্তরে আরেক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রাচীন শহর হাত্রা গুঁড়িয়ে দেয় ইসলামিক স্টেট। সেই সাথে জঙ্গি গোষ্ঠীটি নিমরুদসহ অন্যান্য জায়গারও ক্ষতি করে।
ব্যাবিলন ও হাত্রা ছাড়াও ইরাকে আরও তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্য রয়েছে। সেগুলো হলো মধ্য ইরাকের প্রত্নতাত্ত্বিক শহর সামারা, উত্তরের আশুর ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর ইরবিলের দুর্গ।