অন্যদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য তেহরানকে আলাপে ফিরিয়ে আনা।
সম্প্রতি তেলের ট্যাংকারে হামলা ও মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার জেরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে এসব পাল্টাপাল্টি মন্তব্য শোনা গেল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিসহ দেশটির সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার আদেশে সই করার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ইরানি রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখত রাভানচি নতুন নিষেধাজ্ঞাকে ইরানি জনগণের প্রতি ‘মার্কিন শত্রুতার’ আরেক লক্ষণ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত ওই অঞ্চলে ‘তাদের সামরিক হঠকারিতা’ বন্ধ, তাদের ‘রণতরীর বহর’ প্রত্যাহার এবং ‘ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ থেকে সরে এসে উত্তেজনা প্রশমন করা।
অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জোনাথন কোহেন ১২ মে ও ১৩ জুন তেলের ট্যাংকারে হামলা এবং ২০ জুন আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ১০ কোটি ডলার মূল্যের একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য ইরানকে দায়ী করেন। ইরান ট্যাংকারে হামলার দায় অস্বীকার করেছে এবং ড্রোনটি তাদের আকাশে ছিল বলে দাবি জানিয়েছে।
‘ইরানকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে এসব হামলা অগ্রহণযোগ্য,’ উল্লেখ করে কোহেন বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বিশ্বকে আমাদের সাথে যোগ দিয়ে এ কথা বলা।’