ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইমানুয়েল ম্যাক্রো জানান, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে তার টেলিফোনে আলাপ হয়েছে।
এর ফলে তেহরান পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হল। খবর বিবিসি বাংলার।
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সাথে আলাপকালে ইমানুয়েল ম্যাক্রো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিটি পরিত্যক্ত হলে তার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি তৈরি হবে।
২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সাথে একটি চুক্তি হয়েছিল। শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার ওপর দেয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে।
সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে।
মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দেয়।
ইরান এই ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যায় এই মানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না।
কিন্তু যতটুক ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করতে পারবে তার বেশি ইতিমধ্যেই দেশটির কাছে এখন আছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে আজ একটি ঘোষণা ইরানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসতে পারে।
ইমানুয়েল ম্যাক্রোর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পারমাণবিক চুক্তিটি রক্ষায় সব পক্ষের সাথে আবার আলাপ শুরু করতে কি ধরনের শর্ত থাকতে পারে তা নিয়ে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে বিশ্লেষণ শেষ করবে ইরান ও ফ্রান্স।
সব পক্ষের সাথে সে ব্যাপারে পরামর্শ করবেন ম্যাক্রো।
ইরান তার ওপর আরোপ করা অবরোধ শিথিল করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে রবিবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত বেধে দিয়েছিল।