সুপ্রিম কোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৪টি আবেদনের জবাব দিতে এবং কাশ্মীরে গণমাধ্যমের ওপর জারি করা বিধিনিষেধ সম্পর্কে আদালতকে জানাতে আদেশ দিয়েছে।
কাশ্মীর বিষয়ে পাঁচজন বিচারপতি অক্টোবরে নিয়মিত শুনানি শুরু করবেন বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার ৫ আগস্ট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়। এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিক্রিয়া এড়াতে পুরো অঞ্চল নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এ বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। কিছু দোকানপাট খুলেছে, কিছু ল্যান্ডফোন সেবা পুনরায় চালু হয়েছে ও কিছু বিদ্যালয়ে আবার ক্লাস নেয়া শুরু হয়েছে। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম।
বুধবার আদালতের প্রাথমিক শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বাকি দুই বিচারপতি বলেন, ‘আমরা জানি কী করতে হবে, আমরা আদেশ দিয়ে দিয়েছি, আমরা তা পরিবর্তন করব না।’
সেই সাথে আদালত কাশ্মীর টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের আবেদনের জবাব সাত দিনের মধ্যে দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এ আবেদনে কাশ্মীরে কাজ করা গণমাধ্যমের কল্যাণে মোবাইল ইন্টারনেট ও ল্যান্ডফোন সেবাসহ সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, বুধবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরায়েশি অবিলম্বে আটক সব কাশ্মীরি নেতা ও ‘নিরীহ মানুষকে’ মুক্তি দিতে ও কারফিউ তুলে নিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সেই সাথে তার দাবি, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করতে দিতে হবে ভারতকে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট মোদি সরকারের চরম চাপের মুখে আছে। ‘দেখা যাক বিচারপতিরা ১৪টি আবেদনের বিষয়ে ন্যায়বিচার করেন কি না।’