দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা একত্রীকরণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি তারা নিশ্চিত করতে পারেননি। নামের বিষয়ে ‘জ্ঞাত এক ব্যক্তির’ বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম জং নাম কয়েকবার সিআইএ এজেন্টদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তবে সংস্থাটির সাথে নামের সম্পর্কের অনেককিছুই পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে সিআইএ’র কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
কিম জং নাম ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে খুন হন। এ সময় দুই তরুণী তার মুখে স্নায়ু বিকল করে দেয়া ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট মেখে দেন।
দুই তরুণীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ চলতি বছর প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে চার উত্তর কোরিয়ানের সাথে আঁতাত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই কোরিয়ানরা হামলার দিনই মালয়েশিয়া ছেড়ে পালিয়ে যান বলে সরকারি কৌঁসুলিরা জানিয়েছিলেন।
দুই নারীর আইনজীবীদের দাবি, কুয়ালালামপুরে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের স্পষ্ট সম্পর্ক থাকা এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে তারা গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলেন।
নামের মৃত্যুর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়ে উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে। তবে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়ংইয়ংকে অভিযুক্ত করেনি।
উত্তর কোরিয়ার শাসক পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে বড় ছেলে ছিলেন কিম জং নাম এবং তাকে হয়তো কিম জং উনের শাসনে হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছিল।