মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, আগামী ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামে দু’দিনব্যাপী বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের নেতা প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক বৈঠকে অংশ নিলেও পারমাণবিক অস্ত্র কিভাবে নিরস্ত্রীকরণ হবে সে ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনায় পৌঁছাতে পারেননি।
পারমাণবিক ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে ট্রাম্প উঠেপড়ে লাগলেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে দু’দশক আগেন। যখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রতিয়মান হয়েছিল যে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক শক্তি অর্জনের কাছাকাছি রয়েছে।
বার্ষিক স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘একটি সাহসী নতুন কূটনীতির অংশ হিসেবে, আমরা কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তির জন্য আমাদের ঐতিহাসিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তবে গত সপ্তাহে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স পরিচালক ড্যান কোটস জানান, কিম পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ বা নিরস্ত্রীকরণ করবে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা বিশ্বাস করেন না। বরং তিনি তা আরও বাড়াতে পারেন এবং সে সামর্থ তার রয়েছে। আর এসবের কারণ কিমের রাজত্ব করার অন্যতম চাবিকাঠিই হচ্ছে এই পারমাণবিক অস্ত্র।
এছাড়াও পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য ও শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত জুনে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।