মুরসির প্রতিরক্ষা দলের সদস্য আব্দুল-মোনেম আবদেল-মাকসৌদ জানান, কায়রোর তরা জেলের মসজিদে জানাজার সময় মুরসির পরিবারের সদস্যরা যোগ দেয়। পরবর্তীতে রাজধানীর পূর্বাঞ্চলের জেলা নাসের শহরের এক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
মুরসির ছেলে আহমেদ বলেন, তার বাবাকে শরকিয়া রাজ্যের পারিবারিক কবরস্থান অথবা কায়রোতে বিশিষ্ট ইসলামিকদের কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা করতে দেয়নি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া মুরসি সোমবার আদালতে বিচার চলাকালে মারা যান বলে রাষ্ট্রীয় টিভি ও তার পরিবার জানিয়েছে।
আদালতের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ৬৭ বছর বয়সী মুরসি কাচে ঘেরা আসন থেকে আদালতের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং হুমকি দেন যে তার কাছে ‘অনেক গোপন’ বিষয় রয়েছে যা তিনি প্রকাশ করতে পারেন। ঘটনার কয়েক মিনিট পর তিনি ঢলে পড়েন।
মুরসির আইনজীবী কামেল মাদৌর এপিকে বলেন, মুসরি তার শেষ বক্তব্যে পুনরায় জোর দিয়ে বলেন যে তিনি ছিলেন মিসরের বৈধ প্রেসিডেন্ট। সেই সাথে তিনি বিশেষ ট্রাইব্যুনালের দাবি জানান।
এদিকে কারাগারের খারাপ অবস্থার মাধ্যমে মুরসিকে ‘হত্যা’ করার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে তার দল মুসলিম ব্রাদারহুড।
এক বিবৃতিতে দলটি মুরসির মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে এবং দেশবাসীকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিসরের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
২০১৩ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কারাবন্দী থাকা মুরসির ডায়াবেটিস ছিল বলে জানা যায়। তাকে কারাগারে নির্জন কক্ষে রাখা হত এবং কারও সাথে দেখা করতে দেয়া হত না। তার পরিবার মাত্র তিনবার তার সাথে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিল।
মিসরের প্রধান কৌঁসুলি জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে মুরসির লাশ পরীক্ষা করা হবে। রাষ্ট্রীয় টিভি নাম প্রকাশ না করা চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।