বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রশাসনকে দায়ী করা হয়। গত মাসে জাতিগত গোষ্ঠীর হাতে মালির ১৬০ জন নিহত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রচণ্ড চাপে পড়ে সরকার।
মাইগার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে সংসদ সদস্যরা। অবশেষে কঠোর সমালোচনার মুখে বাধ্য হয়ে পুরো সরকারসহ পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকারের কেইতার বলেন, তিনি মাইগা ও তার মন্ত্রীদের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই একজন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে এবং নতুন সরকার গঠন করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সাল থেকে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থীরা মালির উত্তর মরুভূমিতে দখলদারিত্ব নেয়। তাদের দমন করার প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে দেশটির সরকারকে। চলমান সামরিক অভিযান ও ২০১৫ সালের শান্তি চুক্তি সত্ত্বেও জিহাদীরা এখনও দেশটির বেশিরভাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করছে।