ইয়াঙ্গুন হাই কোর্টের বিচারক অং নাইং তার রায়ে বলেন, সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ও (২৮) যে নিরপরাধ ছিলেন সে বিষয়ে তাদের আইনজীবীরা পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দুই সাংবাদিকের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও-কে কারাদণ্ড দেয়ার এ ঘটনায় অধিকার সংগঠন, পশ্চিমা সরকার ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংগঠনগুলো নিন্দা জানিয়েছিল এবং মিয়ানমারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
শুক্রবার রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজকের রায় ওয়া লোন এবং কিয়াও সো ও’র প্রতি করা অনেকগুলো অবিচারের একটি। তাদের একটি কারণে কারাগারে রাখা হয়েছে: যারা ক্ষমতায় তারা সত্যকে চুপ করিয়ে দিতে চান। প্রতিবেদন করা অপরাধ নয়। মিয়ানমার যতক্ষণ পর্যন্ত এ ভয়ানক ভুলকে ঠিক না করবে ততক্ষণ মিয়ানমারের গণমাধ্যম স্বাধীন নয় এবং আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের প্রতি মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি সন্দেহের মাঝে থাকবে।’
দুই সাংবাদিকের কাছে সরকারি নথি পাওয়ার পর তাদের ঔপনিবেশিক আমলের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।