তিনি বলেছেন, হয় তারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত হোক অথবা তাদের নিজের রাষ্ট্র করে দেয়া হোক।
বছরের পর বছর ধরে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বসবাস করে আসলেও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের সব সময় অস্বীকার করে আসছে। উল্টো তাদের ‘বাঙালি’ নামে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করে।
গত বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় তুরস্কের আনাদলু সংস্থাকে মাহাথির বলেন, ‘হয় তারা (রোহিঙ্গারা) নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে, অথবা তাদের নিজের রাষ্ট্র গঠনে অঞ্চলটি তাদের দেয়া উচিত।’
এ সময় মুসলিম সম্প্রদায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বিভিন্নভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতন করায় মিয়ানমারের কড়া সমালোচনা করেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এখানে (মিয়ানমারে) গণহত্যার বিষয়টি জড়িত। আর মালয়েশিয়া গণহত্যা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের সাথে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়নে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শুরুতে মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও ছোট অর্থনীতির বাংলাদেশের বিদ্যমান জনসংখ্যার ভারবহন করতেই যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে এ অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ বহন করা কষ্টকর।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান চায় বাংলাদেশ।