মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দেয়া এক আবেগপূর্ণ বক্তব্যে আর্ডেন বলেন, সে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অনেক কিছুই করতে চেয়েছিল, এর একটি কুখ্যাতি- এই কারণেই আমাকে কখনো তার নাম উল্লেখ করতে শুনবেন না আপনারা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে স্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর হামলায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এ হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের কয়েকজন সদস্য। যারা ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে খেলার আগে ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।
হামলাকারী ব্রান্টন ট্যারেন্ট একজন অস্ট্রেলিয় নাগরিক। নিজেকে শ্বেত শ্রেষ্টত্ববাদী হিজসেবে অভিহিত করা ২৮ বছর বয়সী এই তরুণকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা তাদের নাম নিন যারা এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তার নাম নয়, যে তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
‘সে একজন সন্ত্রাসী, সে একজন অপরাধী, সে একজন চরমপন্থি- যখন আমি কথা বলবো, তার নামহীন থাকবে’, যোগ করেন তিনি।
পার্লামেন্টের এ বিশেষ বৈঠকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ‘আসালামু আলাইকুম’বলে সম্ভাষণ করেন, যার বাংলা অর্থ ‘আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’।