টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসোর বন্দিশালা থেকে ছাড়া পাওয়ার শর্ত অনুযায়ী পায়ে ট্র্যাকিং ডিভাইস নিয়ে বেরিয়ে আসেন অজয় কুমার (৩৩)। তার সাথে ছিলেন মানবাধিকার কর্মীরা। অনশনের সময় অজয়কে নাকে নল ঢুকিয়ে তরল খাবার জোর করে খাওয়ানো হয়।
অজয় ও আরেক ভারতীয় নাগরিকের আইনজীবীরা জানান, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে রাজি হয় যে অজয় ও তার সঙ্গী খাওয়া-দাওয়া শুরু করলে তাদের মুক্তি দেয়া হবে। শনিবার তারা খাওয়া শুরু করেন এবং চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
অজয় অনশনের সময় প্রায় ২০ কেজি ওজন হারিয়ে ৬৮ কেজি থেকে ৪৮ কেজিতে নেমে আসেন। তবে নতুন করে তিনি ৫ কেজি ওজন অর্জন করলেও ব্যথা রয়েছে।
‘আমি মুক্তি পেয়েছি। এ জন্য আমি অনেক দিন অপেক্ষা করছিলাম,’ বলেন তিনি।
আশ্রয় চাওয়ার আবেদন বাতিল করে দেয়া হলে অজয় ও তার ভারতীয় সঙ্গী গুরজান্ত সিং ৮ জুলাই অনশনে যান। তারা প্রায় এক বছর ধরে নিউ মেক্সিকোর ওটিরোতে আইইসি বন্দিশালায় ছিলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। তারা মনে করেন আদালতের বিচারক তাদের মামলাগুলো প্রকৃত অবস্থা পৃথকভাবে বিবেচনা করেননি। অজয়ের পাশাপাশি গুরজান্ত সিংও মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বলে তার আইনজীবী জেসিকা মাইলস জানিয়েছেন।