হঠাৎ করে শ্রমিকদের অঘোষিত এই ধর্মঘটের কারণে ফরিদপুর নৌ-বন্দরটি স্থবির হয়ে পড়েছে। বেকার হয়ে রয়েছেন বন্দরে কয়েক হাজার কুলি শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার ফরিদপুর সিএনবি ঘাটে (নৌ বন্দর) গিয়ে দেখা গেছে, গত দুই দিন ট্রাক ধর্মঘটের কারণে বন্দরে আসা পণ্যবাহী জাহাজ মাল নিয়ে খালাশের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় মতো পণ্য খালাশ করতে না পেরে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
কার্গো জাহাজের (এম ভি ওয়াটার হেন) চালক আতিয়ার হোসেন বলেন, ‘তিন দিন হলো নারায়ণগঞ্জ থেকে সিমেন্ট নিয়ে এ বন্দরে এসেছি, কিন্তু ধর্মঘটের কারণে ট্রাকে মাল তুলতে পারছি না। বিলম্বের কারণে প্রতিদিন আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’
চলতি মৌসুমের কৃষি কাজে ব্যবহৃত ইউরিয়া সার বোঝাই কার্গো জাহাজও পড়েছে বিড়ম্বনায়।
চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ বোঝাই আমদানিকৃত ইউরিয়া সার নিয়ে এসেছেন মোহাম্মদ হাকিম। তিনি জানান, ফরিদপুর বন্দর থেকে ইউরিয়া সার ট্রাকে করে সরকারের গোডাউনে নেয়া হবে, সেখান থেকে ডিলাররা বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এই ধর্মঘটের কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
বন্দরের শ্রমিকরা জানান, ধর্মঘটের কারণে তাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা দাবি করেন এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে।
এই বন্দরের হাজী শিপিং লাইন্সের মালিক রেজাউর কমির বলেন, ট্রাক চলাচল না করায় পণ্য ট্রান্সপোর্ট করতে পারছি না।
তিনি বলেন, ‘আমার কোম্পানি প্রতিদিন শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে। আমার মতো অনেক ব্যবসায়ী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।’