সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধে করণীয় সম্পর্কে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সচিব বলেন, ‘সারা বছরই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হবার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য (এমইপি) নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার। এখন তা ৮৫০ মার্কিন ডলার করেছে ভারত।’
সরকারের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বছরের এ সময়টাতে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে। ফলে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে মিয়ানমার, মিশরসহ অন্য রপ্তানিকারক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি রোধে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।
সরকারি হিসাব মতে, দেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দেশে উৎপাদন হয়েছে ২৩.৭৬ লাখ মেট্রিক টন। বছরে আমদানি হয়ে থাকে ১০ থেকে ১১ লাখ মেট্রিক টন। ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ স্বাভাবিক ভাবেই নষ্ট হয়ে যায়।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সফিকুল ইসলাম, টিসিবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হাসান জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. হারুণ উজ্জামান, টেরিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাবের প্রতিনিধিসহ পেঁয়াজ আমদানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।