রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মুভিং ফরওয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু সাসটেইন বাংলাদেশ’স সাকসেস’ শীর্ষক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয় যে সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য হারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র উৎপাদনে নেতৃস্থানীয় অবস্থান ধরে রাখা এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সড়ক ও সমুদ্রবন্দরে জট, উচ্চ সরবরাহ ব্যয়, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, লজিস্টিক সেবার দুর্বল বাজার ও সমন্বয়হীন প্রশাসনিক ব্যবস্থা উৎপাদন ও পরিবহনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তা বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থার ক্ষয় ও বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পথকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, ‘বাংলাদেশের যানজটপূর্ণ পরিবহন ও প্রায়শই অপটু সরবরাহ ব্যবস্থা অর্থনীতিতে উচ্চ ব্যয় বয়ে আনে।’
‘এ দেশের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য হারে তাদের যোগাযোগ, ব্যবসার পরিবেশ ও প্রতিযোগিতাকে অনুকূল করে তুলতে এবং দেশকে গতিশীল উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও এতে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে দক্ষ সরবরাহ ব্যবস্থা অন্যতম চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা উন্নত করা হলে তা বিশ্ব বাজারে এ দেশের তৈরি পোশাক ও বস্ত্রের হিস্যা বৃদ্ধি এবং নতুন বাজারের সুযোগ নিয়ে আসবে। বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশই এসব পণ্য।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ও প্রতিবেদনটির প্রণেতা মাতিস হ্যারিরা দাপ্পি বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে উন্নত পরিবহন ও সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য সংস্কার ও বিনিয়োগ বাংলাদেশকে যথেষ্ট অর্থনৈতিক উপকার দেবে এবং এ দেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধাকে জোরদার করবে।’
তবে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে শুধু অধিক বিনিয়োগ নয় বরং সঠিক বিনিয়োগ করতে হবে বলে মত দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, ঢাকা প্রশাসনিক ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পরিবহন ব্যয়ও বাড়ছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, ভারত চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাব প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।