তারা সব ধরনের অনলাইন ব্যবসার কার্যক্রমকে ই-কমার্স হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান এবং ই-কমার্সকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে মূসক ও কর অবকাশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের আয়কর ০.১ শতাংশে রাখতে আহ্বান করেছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার ই-কমার্সকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরেও এ খাতের জন্য কর অবকাশ বজায় রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে ক্রেতারা যেন অনলাইনমুখী হতে পারেন এবং অনলাইনে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সে জন্য বাস্তবে দোকান না থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে তাহলে তাদেরও যেন কর অবকাশ সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়।’
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ই-ক্যাবে থেকে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তিনি বর্তমান অনলাইন গেজেটে ‘অনলাইন পণ্য বিক্রির’ বর্তমান সংজ্ঞা পরিবর্তন এবং সঠিক সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।
‘সরকারের কাছ থেকে এ নীতিটি গেজেট হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটি দেশের ই-শিল্পায়নের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে,’ যোগ করেন সাধারণ সম্পাদক
তিনি আরও বলেন, ই-কমার্স অবকাঠামোগত উন্নয়ন সত্ত্বেও এখনো জনসাধারণের আস্থা তেমন অর্জন করতে পারেনি।
ই-কমার্স খাতের সুষম উন্নয়নে আগামী বাজেটে নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাজেটে ই-কমার্স খাতের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দিতে পারে সরকার। এ বরাদ্দ থেকেই ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা শুরু করতে সহজে ঋণ দেয়া যাবে।
এ সময় ই-ক্যাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ই-কমার্স উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।