বাংলাদেশের নির্বাচিত ১০টি পোশাক শিল্প কারখানাকে তাদের তৈরি পোশাকের গুণগতমান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে শিল্পকে কিভাবে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা যায় এ বিষয়ে সবরকম প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সংস্থাটি।
দীর্ঘ পাঁচ বছরব্যাপী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পের আওতায় নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজ করছে এ সংস্থা।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের গুণগতমান থাকার পরেও কেবল সফলভাবে বাজারজাত করণের অভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি স্কেলের পোশাক শিল্প ব্যবসায়ীরা ভাল ক্রেতা না পাওয়াসহ বাজারজাতকরণের নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। তা চিহ্নিত করে সেভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে সিবিআই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি নিম্নোক্ত পোশাক শিল্পকারখানাগুলোর স্বত্তাধিকারী/ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সিবিআই তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বাছাই পূর্বক পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি, ম্যাচ মেকিং-এ অংশগ্রহণ ও ক্রেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা কিভাবে সফলভাবে করতে হয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
সিবিআই একইসময়ে প্রশিক্ষণার্থী/ অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে নিয়ে গিয়ে হাতে-কলমে ক্রেতার সাথে আলাপ-আলোচনার সুযোগও করে দেয়।
এর ফলে অংশগ্রহণকারীরা এখন আন্তর্জাতিক অনেক নামীদামী ক্রেতাদের সাথে ব্যবসা করার মতো যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেদেরকে সফল, সক্ষম ও ভবিষ্যতমুখী ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলছে।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলালের সরকারি বাসভবনে এক উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে এই সফলতার গল্প।
সিবিআই’র প্রতিনিধি হুগো ভারহুয়েব বাংলাদেশে তাদের এই প্রকল্পকে সফলতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
সংস্থাটি আরেক প্রতিনিধি সেরগি লিয়ন বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পোশাক শিল্প কারখানায় বিদেশি ক্রেতা আকর্ষণের জন্য প্রয়োজন একটি রুচি সমৃদ্ধ এবং গুণগত উৎকর্ষতা সম্পন্ন শো-রুম বা ডিসপ্লে রুম। যাতে বিদেশি ক্রেতারা বুঝতে পারেন এই শিল্প বিশ্বমানের।
উদাহরণ স্বরূপ চট্রগ্রামে অবস্থিত ডেনিল এক্সপোর্ট লিমিটেডের শো-রুমের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্প এখন তাদের উদ্ভাবনী প্রদর্শক, ফলে বিশ্বের যেকোনো ক্রেতাকে আকর্ষণ করা সম্ভব।
রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন জানিয়ে এ প্রকল্প থেকে লব্ধ জ্ঞানকে তাদের সহযোগী অন্যান্য শিল্পের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিজিএমইএ’র মাধ্যমে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল একইভাবে সিবিআইকে এই ধরণের প্রকল্প অব্যাহত রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।