তিনি বলেন, ‘সোয়া কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন। তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।’
বুধবার বিকালে নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মাসব্যাপী ২৭তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (সিআইটিএফ)-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে টিপু মুনশি বর্তমান সরকারকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ব্যবসায়ীর সকল সমস্যার সমাধান সরকার করবে।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সমস্যা আমি ভালো বুঝি। জানি কোথায় কোথায় ব্যবসায়ীদের বাধা। আমরা চাই আরও বেশি বিনিয়োগ আসুক। এর জন্য সুযোগ তৈরি করতে হবে। এ সরকারের সব মন্ত্রী কাজ শুরু করেছেন।’
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার শতবর্ষী সংগঠন। ১১৮ বছর হলো। চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক ঊর্ধ্বে। ১২ আনা, ১৪ আনা ব্যবসা এখানে। সবচেয়ে বড় অফিসটা এখানে চলে আসা উচিত। চট্টগ্রাম আমাদের স্বপ্নের জায়গা। চট্টগ্রামকে প্রায়োরিটি দিতে হবে। চট্টগ্রামে যা আছে তাকে নার্সিং করতে হবে। ব্লু ইকোনমির ভবিষ্যৎ বিশাল। চট্টগ্রামকে ঘিরে ব্লু ইকোনমির কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
তিনি বলেন, শিপবিল্ডিং আরও ভালো হতে পারে। নজর দিতে হবে। চট্টগ্রাম চ্যাম্পিয়ন পর্যটনে। এ খাতে জোরেশোরে কাজ করতে হবে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এমএ লতিফ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মেলার চেয়ারম্যান ও চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুন নেওয়াজ সেলিম।
মেলা আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও এখনো বিভিন্ন স্টল প্যাভেলিয়ন নির্মাণ কাজ চলছে।
২৭তম এ মেলায় তিনটি আলাদা জোনে বিভক্ত হয়ে মোট ৪৫০টির অধিক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে।
মেলায় ২২টি প্রিমিয়ার গোল্ড প্যাভিলিয়ন, ৩টি মেগা প্যাভিলিয়ন, ২টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৬টি স্ট্যান্ডার্ড প্যাভিলিয়ন, ১৮০টি প্রিমিয়ার মেগা স্টল, ২২টি মেগা স্টল, ১০টি প্রিমিয়ার গোল্ড স্টল, ১৪টি স্ট্যান্ডার্ড স্টল, ২টি রেস্টুরেন্টসহ মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বসছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে।