শনিবার রাজধানীতে বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘এ ধরনের একটি জনমুখী ও ব্যবসা-সহায়ক বাজেট দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এবং বাজেট প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এফবিসিসিআইয়ের মতে এ বাজেট ব্যবসা-বান্ধব এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।’
সেই সাথে তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে তাকে স্বাগত জানান। ‘বাজেটে আমরা ইতিবাচক বিষয় দেখতে পাচ্ছি,’ যোগ করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাহলে ব্যাংকিং খাতে এর প্রভাব পড়বে।
‘নতুন বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈদেশিক উৎস, অবকাঠামো তহবিল, অবকাঠামো বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি,’ লিখিত বক্তব্যে বলেন ফাহিম।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যা চলতি বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৬.২৮ শতাংশ বেশি। এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি নতুন মূসক আইন কার্যকর করার সময় ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
ফাহিম বলেন যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় এ বাজেট যুগোপযোগী।
তার মতে, বাজেটে কৃষকের স্বার্থে শস্যবিমা চালু একটি প্রগতিশীল উদ্যোগ। সেই সাথে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা শিল্পখাতের বিকাশকে উৎসাহিত করবে।
এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, তারা প্রত্যাশা করেন যে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএসএমই) থেকে বৃহৎ- সব পর্যায়ে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো হয়রানি থাকবে না, ভোক্তা পর্যায়ে কোনো খরচ বৃদ্ধি পাবে না, ব্যবসা সহজীকরণের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না, ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত হবে এবং করের আওতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি জানান, দেশের কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, সেবা ও কোয়াটারনারি ইকনোমিক সেক্টরাল স্ক্যান বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় এফবিসিসিআই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রত্যাশা করছে।
এফবিসিসিআই সভাপতির মতে, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে শুরু থেকেই সুষ্ঠু পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।