তারা চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে দালিয়ানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়ন’ বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নেন।
চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সিসিপিআইটি নেতারা ছাড়াও চীনের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সেমিনারে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরেন এবং সরকারের দেয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
শেখ ফাহিম জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ০.৬৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি এবং ১১.৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
এফবিসিসিআইয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন গেছেন। শেখ ফাহিম ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে এফবিসিসিআই জানিয়েছে।
এফবিসিসিআই নেতারা ৪ জুলাই বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় একটি বিজনেস রাউন্ডটেবিলে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
৫ জুলাই এফবিসিসিআই নেতাদের এবং সিল্ক রোড চেম্বার অব ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের (এসআরসিআইসি) মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের বৃহত্তম বিনিয়োগ ও বাণিজ্য অংশীদার চীনের সাথে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে এফবিসিসিআই নেতারা তাদের বর্তমান সফরে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বর্তমানে ৪ শতাধিক চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। মূলত বিদ্যুৎ, টেক্সটাইল, চামড়া, প্রকৌশল ও অবকাঠামো নির্মাণ খাতে চীনের বিনিয়োগকারীরা কাজ করছে।
চীন সফর শেষে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল ৬ জলাই ঢাকায় ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।