এই পাঁচ দিনের ধর্মঘটের কারণে সরকার ১৫০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
ভারতীয় ট্রাক শ্রমিক সংগঠন দু’দেশের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের পর বুধবার ধর্মঘট স্থগিত করে। পরে দুপুর থেকে ফের দু’দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি শুরু হয়।
বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে শনিবার দুপুর থেকে ভারতীয় ট্রাক শ্রমিক সংগঠন এবং মালিক সমিতি বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
বন্দর সূত্র জানায়, ধর্মঘট প্রত্যাহারের সাথে সাথে পুরো বন্দর এলাকায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। বন্দরে পুরোদমে মালামাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। ২৭০ ট্রাকের মালামাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। ভারতের ৯৫টি ট্রাক রপ্তানি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় বনগাঁও পৌর মেয়র শঙ্কর আদু ওরফে দুকু ও তার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত ছিল। ফলে উভয় দেশের বন্দর শহরে আট হাজার পণ্য ট্রাক আটকা পড়ে।
ভারত থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার ট্রাক পণ্য আমদানি করা হয় এবং ৩০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়। রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে প্রতিদিন ২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দর পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দু'দেশের আমদানি ও রপ্তানি আবার বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। বন্দরে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।