তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যবসায়ীদের আর কোনো আপত্তি নেই। এই আইন বাস্তবায়ন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, সেটি পুরোপুরি কেটে গেছে।’
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলানগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আসছে বাজেটে কোনো পণ্যে ভ্যাটের হার বাড়বে না, বরং কমবে। আইনগত কারণে ভ্যাট আইনের সব তথ্য এখন প্রকাশ সম্ভব নয়, তবে আইনে ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং ব্যবসায়ী বান্ধব আইন হবে। বিষয়টি বোঝানোর পর ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত হয়েছেন। যার ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কোনো দূরত্ব নেই।’
ভ্যাট আইন জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দু’একদিনের কাজ নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া অর্থাৎ এটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনযোগ্য। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের পরও যদি কোথাও কোনো সীমাবন্ধকতা দেখা দেয় তাহলে তা জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব করতে পরিবর্তন করে সময়োপযোগী করা হবে।’
নতুন অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হবে বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
ভ্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো পণ্যে ভ্যাট বাড়বে না বরং কমবে। তবে ভ্যাটের আওতা বাড়বে। সবকিছু জনবান্ধব আর দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে সুন্দরভাবে করা হবে। ভ্যাট দিতে কেউ কষ্ট পাবে না, সবকিছুই করা হবে উইন উইন অবস্থানে। কোন পণ্যে কি হারে ভ্যাট বসবে ব্যবসায়ীরা তা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি, বিদ্যমান যেসব আইন আছে, তাতে বাজেট ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোন পণ্যে কত শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে, সে তথ্য প্রকাশের কোনো নিয়ম নেই। বাজেট ঘোষণার আগে এসব তথ্য প্রকাশ করা যায় না।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকলে তা পরবর্তীতে সংশোধন ও পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা আমাদের কাম্য। ভ্যাট আইন সংস্কারে এফবিসিসিআই ও এনবিআরের যৌথ উদ্যোগে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করা হবে। যারা ভ্যাট আইন সংস্কারে ভবিষ্যতে কাজ করবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নব নির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী পহেলা জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া ভ্যাট আইন নিয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না বলে অভিযোগ করে আসছে ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে কোন পণ্যে কত শতাংশ ভ্যাট বসবে তা নিয়েও অস্পষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের। এ পরিস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশের আগে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।