আমপড়ার আগে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয় । ওই বৈঠকে আমপাড়া ও এর সংরক্ষণ এবং সরবরাহ নিয়ে চাষীদের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আবু মণ্ডল, চাকলাদার মোল্লাসহ কয়েকজন আম চাষী জানায়, গোপালভোগের পর ক্ষিরসাপাতসহ অন্য জাতের আমপাড়া শুরু হবে।
এদিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে ৬ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত ৯ মে ফল গবেষণা কেন্দ্র ও কৃষি সম্প্রসারণ অধদিফতরের কর্মকর্তা, আমচাষী এবং ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসন বৈঠক করে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের।
বৈঠকে রাজশাহীতে ২০ মে’র আগে গাছ থেকে গোপালভোগ জাতের আম নামানো যাবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে গোপালভোগ ও গুটি জাতের আম সংগ্রহ শুরু করেছেন চাষীরা।
এছাড়া হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত ও লক্ষণভোগ আম নামানোর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জুন। আর ল্যাংড়া নামানো যাবে ৬ জুনের পর থেকে। এছাড়া আম রূপালি ও ফজলি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা জাতের আম ১ জুলাইয়ের আগে চাষীরা গাছ থেকে পাড়তে পারবেন না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আমচাষী, ব্যবাসায়ী ও ক্রেতাদের সব সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এজন্য রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে অস্থায়ী অফিস খোলা হয়েছে। এছাড়া বানেশ্বরে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলো শনিবারও খোলা থাকবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিনে আট ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন। আর আম পরিবহনে যেন কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ।