তিনি আরও বলেন, পানগাঁওকে লাভজনক বন্দরে পরিণত করতে ব্যবসায়ী ও কাস্টমস বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। টার্মিনালকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধান করা হবে। শিগগিরই পানগাঁও টার্মিনাল পুরোদমে পরিচালিত হবে।
সোমবার ঢাকার কেরানীগঞ্জে পানগাঁও আইসিটি পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, পানগাঁও আইসিটির কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধির জন্য ট্যারিফ হ্রাস, জাহাজ ভাড়া হ্রাস, কমন ক্যারিয়ার এগ্রিমেন্ট, জাহাজের সিডিউল প্রণয়ন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, অভিন্ন ইনল্যান্ড হলেজ চার্জ নির্ধারণ, অনলাইনে ডেলিভারি ইত্যাদি সুযোগ-সবিধা বিদ্যমান রয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, পানগাঁও আইসিটি ২০১৪ সালে ৯৮৪ টিইইউস এবং ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৫০৮ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করছে। এ আইসিটি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রায় ১১ লাখ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত চার কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় করেছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুস কুদ্দুস খান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, কাস্টমস কমিশনার ইসমাইল হোসেন সিরাজী, টার্মিনাল ম্যানেজার সারওয়ার আলম ও কমলাপুর আইসিডির ম্যানেজার আহমেদুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ৮৯ একর জমির ওপর ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর পানগাঁও আইসিটি উদ্বোধন করা হয়।