বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদন আজ ওই বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান রিটটি শুনানি না করানোর ব্যাপারে যুক্তি তুলে ধরেন।
তিনি আদালতকে বলেন, এ মামলাটি দুদকের করা। তাই এ রিটের শুনানি দুদকের মামলা শোনার এখতিয়ারভুক্ত হাইকোর্ট বেঞ্চে হতে পারে। এ বেঞ্চের তো দুদক সংক্রান্ত মামলার শুনানির এখতিয়ার নেই।
এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বলেন, মামলাটি দুদকের করা কিন্তু যে প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়েছে তা দুদক সংশ্লিষ্ট কিছু নয়। তাই রিটটি এই বেঞ্চে শুনানিতে কোনো বাধা নেই। এরপর এ রিটের বিষয়টি শুনানির কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয় হাইকোর্ট।
জানা যায়, পুরাতন ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার চলছিল। গত ১২ মে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এ মামলার বিচারে আদালত পুরাতন কারাগার থেকে স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করেন। গত ২৬ মে আদালত স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন খালেদা জিয়া।
রিটে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের ২-নম্বর ভবনে স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়। একই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনটি হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। গত ১১ জুন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ রিট আবেদনটি হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।