মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, অবকাশকালীন ছুটির পর আগামী ১৬ জুন থেকে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চ বসবে।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
আদেশের পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমাদের একটি গেজেট দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু সেটি না পাওয়ায় আমরা তা দাখিল করতে পারিনি। তাছাড়া এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি করা দরকার।
‘অবকাশে আজই শেষ দিন ছিল এই বেঞ্চের। তাই এটি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা অবকাশ শেষে নিয়মিত বেঞ্চে দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেব’, যোগ করেন তিনি।
এর আগে গত ২৮ মে এ রিটের আংশিক শুনানি হয়। সে সময় আদালত বলেন, মামলার চার্জশিট দেওয়া উচিত ছিল। দিলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
এছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেট জমা দিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, পুরাতন ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের একটি কক্ষকে আদালত ঘোষণা করে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার চলছিল। গত ১২ মে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আদালত পুরাতন কারাগার থেকে স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করেন।
গত ২৬ মে আদালত স্থানান্তরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার রিটে দাবি করা হয়েছে, সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ বহির্ভূত। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে প্রচলিত ফৌজদারী কার্যবিধির (সিআরপিসি) ধারা ৯ এর (১) ও (২) উপধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
রিটে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।