তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় এসেছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আর এ আন্দোলন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা পরিষদ মিলয়নায়তনে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিকে যদি সঠিক পথে নিতে পারি, যদি আরও বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করতে পারি তাহলে অবশ্যই বিজয় আমাদের আসবেই আসবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয়করণ এবং বিচার ব্যবস্থাকে সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। ‘যার ফলে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র ভেঙে পড়েছে। দেশে সঠিক আইনের ব্যবহার নেই। দেশের জনগণের বাক-স্বাধীনতা নেই।’
তরিকুল ইসলাম স্মরণে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি শুধু যশোরের নেতা ছিলেন না। তিনি বিএনপির অভিভাবক এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক আদর্শ ছিলেন। দলের দুঃসময়ে মহাসচিবের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
‘একে একে দলের পরীক্ষিত নেতা হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার, তরিকুল ইসলাম ও আজ সাদেক হোসেন খোকাসহ বেশ কিছু সিনিয়র নেতাকে হারিয়েছি। এদের রাজনৈতিক আদর্শ অনুসরণ করে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে বের করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, শামছুজ্জামান দুদু ও অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান ও মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।