‘এখন আর কাউকে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায় শাসন, দুর্নীতি ও দমন-নিপীড়নের বিষয়ে কথা বলতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা নিজেরাই দুর্নীতির তথ্য উন্মোচন করছেন। আওয়ামী লীগ নিজেই প্রমাণ করেছে যে তারা দেশের জনগণের টাকা লুণ্ঠন করেছে,’ বলেন তিনি।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিএনপির নেতা বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ৮৬ কোটি টাকার ‘ন্যায্য পাওনা’ দাবি করার দায়ে সরানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশটিকে এমন নৈরাজ্যের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও ঘুষের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পরীক্ষা না দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ দেয়ার প্রতিবাদে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে করছে শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অনৈতিক আচরণের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে তার অপসারণের দাবিতেও বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। ‘বর্তমান অবৈধ সরকার দুষ্টু লোকদের বেছে বেছে উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখন ৬০টি ক্যাসিনো আছে। যেগুলোর পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা। ‘যারা আপনা আপনিই ধরা পড়ছে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার সব দিক থেকেই ব্যর্থ। জনগণ এখন বুঝতে শুরু করেছে যতক্ষণ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ তাদের জীবনের সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার পাবে না। দেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছোট ছোট মেয়েদের ধর্ষণ ও হত্যা করা হলেও কাউকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।’
তিনি জানান, দলের চেয়ারপারর্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা সঙ্কটজনক, তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে ও চলতে পারছেন না, তাকে সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের চেয়ারপার্সনের উন্নত চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে মুক্তির দাবি করে আসলেও, সরকার তাতে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তিনি জামিনে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য এবং এটা তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার।’