বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
এসময় প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টি স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে ১০০ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের কার্যাদেশ নিয়ে কাজ শুরু করতে পারছেন না ঠিকাদাররা। জেলা অফিস থেকে কার্যাদেশ নিয়ে চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলায় কাজ করতে গেলে স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদেরকে কাজের সাইড বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।
প্রকৌশলীরা ঠিকাদারদের বলছেন, স্থানীয় এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের কমিশনের টাকা পরিশোধ করে তার কাছ থেকে অনুমতি বা সবুজ ছাড়পত্র না আনলে কাজ শুরু করতে দেয়া হবে না। এভাবে ঠিকাদারদের হয়রানি করা হচ্ছে।
ঠিকাদাররা জানান, একই সাথে ভোলার অন্যান্য উপজেলায় যে সব ঠিকাদার কাজ পেয়েছেন তাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অথচ চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলায় লটারিতে যারা কাজ পেয়ে জেলা অফিস থেকে কার্যাদেশ পেয়েছেন তারা কাজ শুরু করতে না পারায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।
তারা আরও জানান, ভোলা-১, ২ ও ৩ সংসদীয় আসনে চরফ্যাসন ও মনপুরার ঠিকাদাররা বিনা বাধায় নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন। কিন্তু বাইরের ঠিকাদাররা চরফ্যাসন ও মনপুরায় কাজ করতে গেলেই তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। দিতে হয় ২০ শতাংশ কমিশনসহ বিভিন্ন চাঁদা।
এসময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ভোলা এলজিইডি অফিস ঘোরাও, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনসহ ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে অর্ধশতাধিক ঠিকাদার উপস্থিত ছিলেন।