তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার দরজা কারো জন্য বন্ধ হয় না, বন্ধ থাকে না। এর মধ্যদিয়ে আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমরা, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবে সম্মত। এবং আমরা সবাই এ ব্যাপারে আমাদের নেত্রীর সাথে একমত যে, আমরা ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সাথে সংলাপে বসবো।’
সোমবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
এর আগে রবিবার জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠায় ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট আরো একটি চিঠি দেয়।
ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতা জগলুল হায়দার ও এএইচএম শফিক উল্যাহ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি পৌঁছে দেন। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ চিঠি দুটি গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ড. কামাল হোসেন, অন্যদিকে ওবায়দুল কাদেরকে পাঠানো চিঠিতে স্বাক্ষর করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু।
কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাথে অর্থবহ সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের স্বাক্ষর করা চিঠি গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
চিঠির সাথে সাত দফা প্রস্তাব ও ১১টি লক্ষ্য সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো পূর্বশর্ত দেবো না। আমরা কারো চাপের মুখে নতি স্বীকার করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাউকে সংলাপে ডাকিনি। তবে তারা (ঐক্যফ্রন্ট নেতারা) সংলাপ করতে চান। সংলাপের দরজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্ধ করে দিতে চান না। তিনি সেই কথাই বলেছেন।’
শেখ হাসিনা সংলাপে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানালেও সংলাপ কখন ও কোথায় হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি কাদের। খুব শিগগিরই তারিখ, সময় ও স্থান জানানো হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
ঐক্যফ্রন্টের দাবি মেনে নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন বলা সম্ভব নয়। ‘সংলাপ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’