বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলের, ‘আমরা বিশ্বাস করি সর্বোচ্চ আদালত থেকে দেশনেত্রী ন্যায়বিচার পাবেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের সিনিয়র সিটিজেন, চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেতা ও দেশের জনপ্রিয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ।’
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে এ ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে অনেকেই জামিন পেয়েছেন। ‘তার (খালেদা) আইনগত অধিকার রয়েছে সংবিধান, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, বয়স ও অসুস্থতাসহ সব বিবেচনায় জামিন পাওয়ার।’
রিজভী বলেন, সারা জাতি আগামীকাল খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকবে।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আপিল বিভাগ গত ২৮ নভেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি পিছিয়ে ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) নির্ধারণ করে।
আদালত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়ে রেখেছে।
রিজভী বলেন, ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এত ভয়ংকর যে এ মুহূর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানির চরম ঝুঁকি রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন যে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ২৫ দিন ধরে বিএনপি প্রধানের সাথে স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। ‘এটি কারা বিধির চরম লঙ্ঘন। আমরা বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশঙ্কায় দিনাতিপাত করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেন, খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ এবং অবিলম্বে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা না হলে তার শরীর স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
বিএনপি প্রধানের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগজনিত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়া যাতে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নিতে পারেন সে জন্য ড্যাবের পক্ষ থেকে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানান ডা. শামীম। ‘আমরা আশা করি, সর্বোচ্চ আদালত তাকে তার প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে তার পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেবে।’