বৃহস্পতিবার বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েসবাইটে প্রকাশিত রবিবারে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় মামলা দুটি ৯ ও ১০ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
গত ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে জামিন দেন। এ জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ২৯ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত রেখে ৩১ মে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন। সে অনুসারে ৩১ মে শুনানির পর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত রেখে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে আদেশ দেন।
এছাড়া ২৪ জুন এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিনও ধার্য করেন আদালত। পরে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দায়ের করেন।
ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।
গত ২০ মে হাইকোর্টে ওই দুই মামলায় জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২৭ মে কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলার ওপর শুনানি শেষে ২৮ মে খালেদাকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। আহত হন আরো ২০ জন। সেসব ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান।