দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনও অসুস্থ। সরকার তার প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তার জীবন নিয়ে এক গভীর চক্রান্তে মেতে আছে সরকার।’
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার নিকটাত্মীয়দের সাথে দেখা করার অনুমতি না দিয়ে খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকারের নির্দেশে নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। ‘সরকার জুলুমের যত পথ-পদ্ধতি আছে সবই প্রয়োগ করছে বেগম জিয়ার ওপর।’
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য সরকারকে দায়ী করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা করার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘দেশজুড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও মামলা-হামলার পর এখন দুদক দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
তিনি দাবি করেন, দুদক বিরোধীদল নির্যাতনের যাতাকল হিসেবে কাজ করছে।
এছাড়া রিজভী আরও বলেন, গত ১০ বছরে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করে নিলেও, সব ব্যাংক লুট হয়ে গেলেও দুদক চোখ বন্ধ করে বসে আছে।
‘মহা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর এখন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সারাদেশে ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতা চালাচ্ছে’ জানিয়ে তার অভিযোগ, ‘নির্বাচন পরবর্তী সহিংস সন্ত্রাসের প্রকোপে জনজীবন গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যে পতিত হয়েছে। বিরামহীন সন্ত্রাসের প্রসারে দেশজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিপীড়ন-অত্যাচারের সংবাদ যাতে গণমাধ্যম প্রকাশ না করে সে জন্য ভয়ংকর সেন্সরশিপ চালানো হচ্ছে।’