রবিবার বেলা ১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যে নির্বাচনকে একটি তামাশায় পরিণত করেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে সেনাবাহিনীকে মূর্তির মতো রেখে এই কাজটা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীরও ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য দীর্ঘদিনের একটা ক্ষতি, যা পূরণ করা কঠিন হবে। মানুষকে আস্থাহীনতায় ভুগতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ সকালে দল বেধে ভোট দিতে এসেছে। কিছু সময় ভোটাররা ভোট দিতে পারছিলো। তারপর যখন তারা দেখলো এভাবে যদি ভোট হয়, তাহলে তাদের পরাজয় রোধ করা যাবে না। তখনই সরকার দলের ক্যাডাররা ও পুলিশ প্রশাসন ভোটকেন্দ্র থেকে ভোটারদের বের করে দেয়। এরপরে আওয়ামী লীগের গুন্ডা-সন্ত্রাসীরা সিল মারতে শুরু করে।
অনেক প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ বর্জন করলে করতে পারে, তবে দলীয় সিদ্ধান্ত হলো আমরা বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেখবো।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কোনো আস্থা নেই। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে সেনাবাহিনীকে মুর্র্তির মতো রেখে এই কাজটা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীরও ক্ষতি হচ্ছে। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য দীর্ঘদিনের একটা ক্ষতি, যা পূরণ করা কঠিন হবে। মানুষকে আস্থাহীনতায় ভুগতে হবে।
ফখরুল বলেন, আমার কেন্দ্রে ভোটাররা আসতে পারছে না, ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের সাহায্যে এটা করা হচ্ছে। আমি প্রশাসন ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে বার বার গিয়েছি, বিষয়গুলি জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। দেশের সব জায়গা থেকেই এরকম খবর পাচ্ছি।