তিনি বলেছেন, ‘জিয়া পরিবার বাংলাদেশের জন্য একটি অভিশপ্ত পরিবার। তিনি যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি এজেন্ট ও এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধী। তারা এ দেশটাকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এই পরিবারের নেতৃত্ব এ দেশের মানুষ আর চায় না।’
শুক্রবার বিকালে শহরের ডিআইটিতে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মরণ সভায় হানিফ এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফর উল্লাহ দুই বছর তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি দুই বছর বাইরে থাকার পর বিএনপি একটা ভালো অবস্থানে এলে উনাকে (তারেক) দেশে আনা হবে। কি অকাট্য পরামর্শ। তারেক রহমানকে কেন দেশের বাইরে রাখতে চান? কারণ তারেক রহমান সন্ত্রাসী, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। তিনি বহু মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাই এই পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এক সময় মনে করতাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৃজনশীল রাজনীতি করতে চান বা তার ইচ্ছা আছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তার লাগাতার মিথ্যাচারে আমরা হতাশ হয়েছি।’
এসময় হানিফ বলেন, যারা বিএনপির রাজনীতি করেন তারা উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়ান। ‘যদি দেশের জন্য রাজনীতি করতে হয় তাহলে শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়ান, নয়তো চুপচাপ থাকেন।’
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির না আসার ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনে অংশ না নিলে এটা হবে চরম আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে করে আপনারা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বেন। আর জনগণের আস্থা আপনাদের ওপর থেকে উঠে যাবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সারোয়ার জাহান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব প্রমুখ।