সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান রানাকে দেয়া হাইকোর্টের স্থায়ী জামিন আদেশ ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। অন্যদিকে, আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটরসাইকযোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন।
পরদিন শামীমের মা আছিয়াখাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ, শাহাদত ও হিরণ হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা সাবেক এমপি রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।