গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে এ ইফতার আয়োজন করেন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন হওয়ার পর প্রথমবারের মতো গণফোরামের কোনো অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি পাঠালো আওয়ামী লীগ।
ফারুক খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে এমন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে গণফোরামকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখানে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন এবং বলেছেন স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাকে তার পক্ষ থেকে আপনাদেরকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানাতে বলেছেন। আজকের এই ইফতার মাহফিলে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব, তিনি যেন আরও ভালোভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেন এবং দেশের জনগণের জন্য কাজ করতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ইফতার পার্টির মতো সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের ওপর জোর দেন। ‘এটা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।’
অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় ড. কামাল অতিথিদের ধন্যবাদ দেন। তবে তিনি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া এবং ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।