বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম হোসেন জানান, মামলার বাদী আবেদনটি এজহার হিসেবে গণ্য করার জন্য আবেদন করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানাকে মামলাটি এজহার হিসেবে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯ ধারায় দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রংপুরের একটি মানহানির মামলায় ঢাকা অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার রাতে মইনুলকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সাথে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া নেত্রকোনায় তার বিরুদ্ধে আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।