তিনি বলেন, ‘নিম্ন আদালতের দেয়া এই রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন। বিএনপিকে দুর্বল করার অসৎ উদ্দেশ্যে এটা দেয়া হয়েছে। সুতরাং, এই রায়ের ভিত্তিতে আমাদের নেতা তারেক রহমানের পদত্যাগের প্রশ্ন আসে না।’
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা দাবি করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে দলীয় তদন্তকারীর চক্রান্তে সাজানো মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে।
‘এটা জানার পরও কেউ কেউ দল থেকে তারেক রহমানের পদত্যাগের যে পরামর্শ দিয়েছেন, তাদের কাছে জনগণ প্রশ্ন করতে পারে- এত শত গুম, খুন করার জন্য দায়ী সরকারের পদত্যাগ কি তারা দাবি করেছেন,’ যোগ করেন তিনি।
ফখরুলের অভিযোগ, গণমাধ্যমের একাংশ রায় প্রকাশের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে মনগড়া কিছু তত্ত্ব ও তথ্য প্রকাশ করে তার সম্পর্কে জনমনে বিরূপ ধারণা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ‘আমরা আশা করি, ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা ক্ষমতাবান কাউকে তুষ্ট করার জন্য কারও বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো থেকে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম বিরত থাকবে।’
রাজধানীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বুধবার রায় দেয় আদালত। রায়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্য ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এক আলোচনা সভায় বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিরপেক্ষ হয়নি।
তিনি বলেন, ঘটনার সাথে তারেক রহমান সম্পৃক্ত না থাকার পরও শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জিয়া পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মওদুদ আহমদের ভাষ্য, রায় যেহেতু গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হয়নি তাই এ জন্য বিএনপি থেকে তারেক রহমানের পদত্যাগ চাওয়া সমর্থনযোগ্য নয়। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রায়টি দেয়া হয়েছে। সুতরাং এমন রায়ে দোষী হওয়ার পর আমাদের নেতা (তারেক) পদত্যাগ করতে পারেন না। এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাকে (তারেক) আমরা নিজেদের নেতা মনে করি।’