তিনি বলেনন, নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের মধ্য থেকে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? কামাল হোসেন পদ পদবী নেবেন না। বেগম জিয়া নেই, তার ছেলে নেই; তাহলে কি হবে এই ঐক্যফ্রন্টের, প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ও ‘ঐক্যফ্রন্টের ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে নির্বাচনী গণসংযোগে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশে অসুস্থ ধারার রাজনীতি করার জন্য অসুস্থ মানুষের সাথে ঐক্যফ্রন্ট করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড হলো বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপির এখন খবর নাই। তারা ঈদের পর আন্দোলন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ২০ ঈদ চলে গেছে। কিন্তু আন্দোলনের খবর নাই। বিএনপি এখন মরা গাঙয়ের পানি। তারা একটি ভুয়া দল। বিএনপি ভুয়া ভুয়া ভুয়া।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে বিএনপি কামাল হোসেনের সাথে ঐক্য করেছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি দেশে কোনো অবৈধ আন্দোলন করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বিএনপির নেতৃত্বে এই ঐক্যফ্রন্টের কোনো ভিত্তি নেই। দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ নেই, সবাই এক সাথে নির্বাচন উপলক্ষে কাজ করবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পথে পথে আমি ব্যাথিত হয়েছি। বিল বোর্ড ও ব্যানার ফেষ্টুন দেখে। বিলবোর্ড ব্যানার দেখে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। নেতাদের যোগ্যতা দেখে মনোনয়ন দেয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কাগজে ব্যানারে পাথরে নাম লিখলে হবে না। দলের নাম হৃদয়ে লিখতে হবে। অন্তরে থাকতে হবে দলের প্রতি ভালোবাসা।
গণসংযোগ ও পথসভায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নোওফেল, সাভারের সংসদ সদস্য ডা.এনামুর রহমান, ধামরাই সংসদ সদস্য এম এ মালেক, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র হাজী আবদুল গনি প্রমুখ।