এক অনুষ্ঠানে তিনি শিশুদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা কেন এই হিংসা, প্রতিহিংসা এবং হত্যাযজ্ঞের মধ্যে নেমে পড়েছি? কেন আমাদের রাফিকে (নুসরাত জাহান রাফি) এভাবে নির্যাতিত হয়ে মরতে হয়? এই উত্তরগুলো আমাদের রাজনীতিবিদদেরই দেয়ার কথা... সুন্দর বাংলাদেশ এবং তোমাদের নিরাপত্তা দিতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
দশম জাতীয় শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুঁড়ি-২০১৮’ উপলক্ষে এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘তারপরও, আমি একটা সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে আমাদের শিশুরা নির্ভয়ে বিচরণ করবে ও কোথাও তাদের ওপরে আঘাত আসবে না এবং আমাদের মেয়েদের পুড়িয়ে হত্যা করা হবে না।’
জিয়া শিশু একাডেমি রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয়ে ৮৫ জন শিশুকে পুরস্কার দেয়া হয়।
নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণা করে ফখরুল বলেন, মানুষ, এমনকি শিশুরা শিল্প ও সংস্কৃতির পরিবর্তে প্রযুক্তিতে বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। ‘আমরা প্রযুক্তির কাছে হেরে যাচ্ছি।’
তিনি দেশের মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিশুদের বলেন। ‘যারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা আমাদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় মানুষ।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পরেও মানুষ তাদের জীবনের নিরাপত্তা পাবে না এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে যথাযথ জ্ঞানার্জনে শিশুদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।